রাজনীতি

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড.জিয়াউদ্দীন হায়দার

শেখ হাসিনার পতনের পেছনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য

জাহিদ রহমান, ওয়াশিংটন ডিসি প্রতিনিধি

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. এসএম জিয়াউদ্দিন হায়দার ছবি: বায়ান্ন টিভি

গেলো ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পেছনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর নবনিযুক্ত সদস্য ড. এসএম জিয়াউদ্দীন হায়দার। নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝে রাজনীতি করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায়  স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহিদ খান। ড.জিয়াউদ্দীন হায়দারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন,  ৫ আগস্টের মুক্তি পাওয়া আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝে রাজনীতি করতে হবে।  আমরা অতীতের রাজনৈতিক ধরণে ফিরে যেতে পারবো না। নতুন প্রজন্মকে শুধু আশ্বাস দেখালে তারা মেনে নিবে না।

বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন আরো বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পেছনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার শাসনতন্ত্র জনগণের গলা চেপে ধরেছিল। প্রবাসীদের কনট্রিবিউশন না থাকলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেত না।

উপদেষ্টা জিয়াউদ্দীন হায়দার বলেন, ছাত্রজনতার জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। পৃথিবীর কোথাও এমন কোন উদাহরণ নাই, যেখানে একজন সরকার প্রধানের সাথে সাথে তার সকল সদস্যকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলেন বিএনপির রাজনীতিকে জ্ঞান নির্ভর করতে হবে।

বিএনপির ভিশন ২০৩০ ডকুমেন্টারিতে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি সম্পর্কে সকল নির্দেশনা দেওয়া আছে।

বিএনপি যদি কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে তার সব নির্দেশনা এখানে ছিল।

তুহিন ইসলাম ও সৈয়দ সালেহ মুনসুর পরশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নয়ন বাজ্ঞালি, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, মিয়া মজনু, মহিউদ্দিন আনয়ার, ডাক্তার নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার শামিম, জাহিদ খান,নেসার আহমেদ, শামসুদ্দিন আহমেদ,  কবিতা দেলোয়ার ও কামরুন কনা।

প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সদর উপজেলার নৈকাঠিতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রথম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।  জিয়া হায়দার আশির দশকে বরিশাল জেলা শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে পেশাদার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার পঁয়ত্রিশটি দেশে টেকসই স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে ত্রিশ বছর কাজ করেছেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সর্বশেষ তিনি বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে গত ফেব্রুয়ারিতে অবসর নেন এবং বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এর আগে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে  অধ্যাপনাও করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের নবনিযুক্ত এই উপদেষ্টা। 

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার