বাংলাদেশ

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজনকে ১০ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী সহ চারজনকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের একটি মামলায় আজ এ রিমান্ড আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ। কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এ রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সুব্রত বাইন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)। 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে।  সুব্রত বাইন তৎকালীন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।  তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাতিরঝিল থানা এলাকার নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকেলে এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন । সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি, অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে। 

তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পালাতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজেন আসামিদের ১০ দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

এমএ// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #সুব্রত বাইন #রিমান্ড #মোল্লা মাসুদ