জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (৭ জুন) সকালে এক বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রসমাজ ও জনগণের দুর্দান্ত আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যে বিজয় এসেছে, তা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় অবমূল্যায়িত হয়েছে। এই বিলম্ব জনগণের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি করছে।’
বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রমজান, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা এবং দেশের আবহাওয়াগত বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব এবং যৌক্তিক।
এর আগে শুক্রবার (০৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম, যেখানে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানেই দলের আনুষ্ঠানিক অবস্থান ঠিক করে শনিবার সকালেই গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হয়।
বৈঠকে ড. ইউনূসের ভাষণ বিশ্লেষণ করে বিএনপি নেতারা মত দেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এই ঘোষণায় অবজ্ঞার শিকার হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
এমএ//