ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছেলের কোদালের আঘাতে শাহাদাত হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ জুন) সকালে পারিবারিক জমিতে কাজ করার সময় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাদাত হোসেন উপজেলার শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা তাইজেল হোসেনের ছেলে। শাহাদাত হোসেনের ছেলে অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেন মানসিকভাবে অসুস্থ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বেতাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপ-পরিদর্শক) জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পিতা-পুত্র মিলে ঝালের ক্ষেতে কাজ করতে যান। হঠাৎ কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফয়সাল ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা কোদাল দিয়ে বাবার মাথায় সজোরে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহাদাত হোসেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ফয়সালকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
প্রতিবেশী আবদার হোসেন বলেন, ‘কাজ করতে করতে বাবা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কোদাল দিয়ে ফয়সাল তার বাবার আঘাত করেন। এ সময় শাহাদত মাটিতে পড়ে যান। রক্তে ভেসে যায় পুরো জায়গাটা।’
আরেক প্রতিবেশী আলী আজম বলেন, ‘নিহত শাহাদাত হোসেনের ছেলে দীর্ঘদিন যাবত মানসিক রোগে ভুগছেন। আগেও মাকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনার পর শঙ্করপুর গ্রামে চরম উত্তেজনা ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাবা-ছেলের এমন মর্মান্তিক ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।
এমএ//