ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা ও ইরানে চলমান সামরিক অভিযান লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
রোববার ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করে দুদেশের 'দৃঢ় মিত্রতা' পুনর্ব্যক্ত করেন ইসরাইলী প্রধামন্ত্রী।
নেতানিয়াহু বলেন, তাদের প্রিয় বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতি তারা কৃতজ্ঞ। ফোর্দোতে ব্যাপক ক্ষতি করার জন্য আমেরিকান পাইলটদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ওই পারমাণবিক স্থাপনাগুলো থেকে আর কোনও হুমকি আসবে না এটা নিশ্চিত করা হবে। নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করা হবে।
তিনি আশাবা জানান, ইসরাইল গাজা থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়নি। ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গাজার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।
এর আগে রোববার (২২ জুন) ভোরে মার্কিন বাহিনী ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা করে। পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন,“ইরানের সামনে এখন দুটি পথ। শান্তি বা ভয়াবহ বিপর্যয়।
এই হামলা করা হয় ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ এর ধারাবাহিকতায়। যেটি গেল ১৩ জুন থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে চালানো হচ্ছে। পাল্টা জবাবে ইরান শুরু করেছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রী’। ইরানীদের অভিযানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা, আইএইএ এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করছে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি পরোয়া করি না ও কি বলেছে।”
এদিকে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এইওআই নিশ্চিত করেছে, ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ জানায়নি। দেশটির জাতীয় পারমাণবিক নিরাপত্তা কেন্দ্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনও রেডিয়েশন বা দূষণ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকির আশঙ্কা নেই।