যুক্তরাজ্য সফরের সময় সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক না হওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, অফিসিয়াল সফর হিসেবে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলার পরই আমরা নিশ্চিত করেছি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কেন হয়নি, আমি ঠিক এ মুহূর্তে তা বলতে পারবো না। কারণ আমি সেখানে ছিলাম না।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সফরে যারা ছিলেন তারা হয়তো আরও ভালো বলতে পারবেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে বৈঠকটি হয়নি।
বৈঠক না হওয়ার দায় কে নেবে এ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখি এর দায় কেউ নেয় কিনা। তবে সফরটি ছিল অফিসিয়াল, সেটি বলাও ছিল। প্রত্যাশা ছিল যে বৈঠকটি হবে।’
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনও ধরনের জোট করছে না বাংলাদেশ। সেখানে (কুনমিংয়ে) একটি প্রদর্শনী হচ্ছিল। তখন সেখানে তিন দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। আলাপ-আলোচনা পুরোটাই ছিল কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি—এ ধরনের বিষয় নিয়ে। সেখানে জোট গঠনের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটি নিতান্তই বাস্তব সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ব্যাপার। আমার মনে হয় না বিষয়টিকে এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’
বৈঠকে চীন-পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি দেখেছে।বাংলাদেশও সেটিই করেছে। ভবিষ্যতে যদি কোনও অগ্রগতি হয়, তখন আপনারা জানতে পারবেন। যদি কাঠামোগতভাবে কিছু হয়, তাও সময় মতো জানানো হবে।
বৈঠকটি ভারতবিরোধী ছিল কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই তৃতীয় কোনও পক্ষকে টার্গেট করছি না। অন্য কোনও দেশ যদি এ ধরনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে চায়—তাতে আমি কোনও সমস্যা দেখছি না। ধরুন, তাত্ত্বিকভাবে ভারত যদি চায়—নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে বসুক, কানেক্টিভিটি বা অন্য কিছু নিয়ে। এটা করতে আমি কালকেই রাজি আছি।’
আই/এ
