দেশজুড়ে

অতিরিক্ত ভাড়া ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে টিটিইকে গণধোলাই

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

ভাড়া বেশি আদায় ও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের উথলী রেলস্টেশনে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখে ক্ষুব্ধ জনতা। মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ঘটে এ ঘটনা।

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই উত্তেজনার মধ্যে এক ট্রেন টিকিট পরীক্ষককে (টিটিই) গণধোলাই দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করছিল।

বুধবার (০৯ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উথলী রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মিন্টু কুমার রায়।

ঘটনার বিষয়ে উথলী রেলস্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দর্শনা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রফিক হোসেন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন, তবে প্রবল বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে যেতে পারেননি।

জীবননগর থানার পরিদর্শক মামুন হোসেন বলেন, পোড়াদহ রেলওয়ে থানার নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। একজন যাত্রীর সঙ্গে টিটিইর অসৌজন্যমূলক আচরণের জেরেই লোকজন ট্রেন আটকে রাখে।

টিটিইকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতির সময় এমন কিছু ঘটেনি। তবে তার আগে কিছু হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি পরে মীমাংসা হওয়ায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে উথলী রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মিন্টু কুমার রায় বলেন, জীবননগরের সেনেরহুদা গ্রামের এক যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং খারাপ ব্যবহার করেন এক টিটিই। বিষয়টি জানালে ওই যাত্রীর গ্রামের প্রায় ২০০ জন স্থানীয় লোক স্টেশনে এসে ট্রেনটি অবরোধ করেন এবং অভিযুক্ত টিটিইকে খুঁজতে থাকেন।

তিনি জানান, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অভিযুক্ত টিটিই দরজা বন্ধ করে মালবাহী একটি বগিতে আশ্রয় নেন। কিন্তু তাকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ জনতা ভুল করে অন্য এক টিটিইকে ধরে চড়-থাপ্পড় মারে।

তিনি বলেন, ‘ওই টিটিই যদি পুরোপুরি জনতার হাতে ধরা পড়তো, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। পরে আমি ও জীবননগর থানা পুলিশ জনতার কাছে ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’

প্রায় ৫৫ মিনিট ট্রেন আটকে থাকার পর অবশেষে সেটি খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ট্রেন #টিটিই #চুয়াডাঙ্গা