পাকিস্তানের বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ারসিয়ালের অব্যবস্থাপনায় লাহোর থেকে করাচি যাওয়ার কথা ছিল এক যাত্রীর। কিন্তু ভুলবশত তাকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়।
পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা মালিক শাহজাইন। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সোমবার (১৪ জুলাই) দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শাহজাইন জানান, সোমবার রাতে তার ছোট ছেলে অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য এয়ারসিয়ালের একটি ফ্লাইটে আসন সংরক্ষণ করেছিলেন। সে সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছে বোর্ডিং পাসও দেখায়। কিন্তু এরপর তাকে লাউঞ্জ থেকে ডিপার্চার গেটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রানওয়েতে দুটি বিমান ছিল-একটি করাচি যাওয়ার, আরেকটি জেদ্দার উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিমান সংস্থার কর্মীরা যাচাই না করে তাকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে তুলে দেন। এতে দুই ঘণ্টা পর বিমানটি যখন করাচি পৌঁছায়নি, তখন শাহজাইন কেবিন ক্রুদের কাছে তিনি জানতে চান।
তখন তারা জানায়, এই বিমানটি জেদ্দার দিকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, শাহজাইনকে জেদ্দা বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়। তবে তার লাগেজ ঠিকই করাচি পৌঁছায়। কিছু সময় পর কর্মকর্তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। তবে দুর্ভোগ এখানেই শেষ হয়নি। এয়ারসিয়াল তাকে করাচি পাঠানোর বদলে লাহোরে ফেরত পাঠিয়ে দেয় এবং জানায় তাকে নতুন টিকিট কিনে করাচি পৌঁছাতে হবে।
শাহজাইন আরও বলেন, ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়ি ফেরার বদলে উল্টো ১৫ ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে। এরপর আবার সৌদি আরবে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর লাহোরে ফেরত। সবকিছুই যেন ছিল এক কষ্টকর পরিস্থিতি।
এয়ারসিয়াল কর্তৃপক্ষ এ ভুল স্বীকার করলেও শাহজাইন জানান, এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক দুঃখপ্রকাশ বা ক্ষতিপূরণ তাকে দেয়া হয়নি। পাকিস্তানের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
এসকে//