জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে চারটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিএনপি ওয়াকআউটের কিছু সময় পর তারা পুনরায় বৈঠকে যোগ দেয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রথম থেকেই বিএনপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল। শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ ওয়াকআউট করেন। তার আগে দলটি জানিয়েছিল যে সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ক আলোচনায় তারা অংশ নেবে না।
বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বিষয়টি উপস্থাপন করলে বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তারা আলোচনায় অংশ নেবেন না। ওয়াকআউটের পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “একটি বড় দল যখন আলোচনায় নেই, ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”
আলোচনায় অংশ নেয়া কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ জানান, বিএনপি আগেই জানিয়েছিল তারা চারটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির বিরোধী। তিনি বলেন, “একটি দলের কারণে আলোচনা স্থগিত করা যায় না, তবে বড় দলের অনুপস্থিতিতে আলোচনার কার্যকারিতা কমে যায়।”
অন্যদিকে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সাময়িক ওয়াকআউট করেছি। কারণ আমরা মনে করি, সংবিধিতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ পদ্ধতি সংযুক্ত করলে ভবিষ্যতে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং জটিলতার সৃষ্টি হবে। এ জন্য আমরা তিনটি রক্ষাকবচ রেখে দিয়েছি যাতে ফ্যাসিবাদের পথ বন্ধ থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “বিচার বিভাগে সংস্কার চলছে এবং প্রেস স্বাধীনতা প্রায় প্রতিষ্ঠিত। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাহী বিভাগকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে, তবে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়া উচিত নয়। এজন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শক্তিশালী আইন থাকা প্রয়োজন, কমিটি নয়।”