লাইফস্টাইল

রাতের ঘুমে ঘাড়ের ক্ষতি, নীরব শত্রু আপনার বিছানায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

রাতের অন্ধকার নেমে এলে আমরা সবাই শান্তি খুঁজতে বিছানায় শুয়ে পড়ি। কিন্তু অনেক সময় সেই শান্তি আসেনা। সাধারণ বালিশ, যা আমরা আরামদায়ক মনে করি, অনেক সময় ঘাড়ের স্বাভাবিক অবস্থান ধরে রাখতে পারে না। ঘুমের সময় ঘাড়ের পেশী পুরোপুরি বিশ্রাম পায় না, ফলে পরের দিন ঘাড়ের ব্যথা, মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি বাড়তে থাকে।

জাপানি ব্যথা বিশেষজ্ঞ ডাঃ হিরোশি তানাকার দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে, ঘাড় এবং কাঁধের গুরুত্বপূর্ণ পেশী ট্র্যাপিজিয়াস ঘুমের সময় সঠিকভাবে বিশ্রাম নিতে পারে না। তিনি সতর্ক করেছেন, “পেশী শিথিল হওয়া প্রয়োজন, কিন্তু নিয়মিত বালিশ এটি ঘন্টার পর ঘন্টা, রাতের পর রাত কাজ করতে বাধ্য করে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে।”

এই অবিরাম টান শুধু ঘাড়ের ব্যথা বাড়ায় না, বরং কাঁধ ও উপরের পিঠেও ছড়িয়ে পড়ে, রক্ত চলাচলে বাধা দেয় এবং দিনের বেলা ক্লান্তি, মাথা ঘোরা ও মাইগ্রেনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের সময় পেশী টান ঠিকভাবে শিথিল না হলে ‘পেইন ক্যাসকেড’ তৈরি হয়। প্রথমে ঘাড়ের পেশী আটকে যায়, তারপর কাঁধে ছড়িয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত উপরের পিঠের ব্যথার চক্র তৈরি করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা আরও জটিল হয়, কারণ পেশী দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং আরোগ্য প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।

তানাকার পরামর্শ অনুযায়ী, এই সমস্যার প্রতিকার সম্ভব। ঘুমের সময় মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ প্রাকৃতিক অবস্থায় রাখা, খুব নরম বা খুব শক্ত বালিশ এড়ানো, এবং ঘুমের আগে হালকা স্ট্রেচিং করা খুবই কার্যকর। এই অভ্যাস নিয়মিত মানলে ঘাড়ের ব্যথা, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথার চক্র ভাঙা যায়।

রাতের ঘুম তখন কেবল বিশ্রাম নয়, শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ সময় হয়ে ওঠে। সঠিক ঘুমের ভঙ্গি মেনে চললে ঘাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য রাতের ঘুম সত্যিই শান্তি ও আরামের প্রতীক হতে পারে।

সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #বালিশ #ঘুম #ঘাড় ব্যথা