রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এক বছরে দেশ নির্বাচন আয়োজন করার মতো যথেষ্ট প্রস্তুত এবং স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের হোটেল বে ওয়াচে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত অংশীজন সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি এখানে এসেছি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। এক বছর আগে আমরা দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে এক হত্যাযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি। এক বছরে দেশ নির্বাচন আয়োজন করার মতো যথেষ্ট প্রস্তুত এবং স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। তাই আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব নেবে। আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার একটা সমাধান বের করতে পারব।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও টেকসই সমাধানের পথ খুঁজতে কক্সবাজারে চলছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারে পৌঁছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজই তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
প্রায় আট বছর আগে নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের কীভাবে নিজ দেশে ফেরানো যায় সেই উপায় খুঁজতে জাতিসংঘ, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ নীতিনির্ধারকরা এই সংলাপ করছেন।
এসি//