আর্কাইভ থেকে জাতীয়

এবারও তিস্তার পানির সুরাহা হলো না

এবারও তিস্তার পানির সুরাহা হলো না

স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশে সফর করেছেন পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র প্রধান। 

চলতি মাসের ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। তার পরপর শীলংঙ্কা, নেপাল, ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশ সফরে আসেন। সবার পরে  আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের মধ্যে সবচে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রধানের সফরকালে ৫টি গুরুত্বপূর্ন চুক্তি সই হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো হলো:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন ও প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়ার (আইএনসিসি) মধ্যে সহযোগিতা। বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সহযোগিতা। এছাড়া রাজশাহী কলেজ মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় স্পোর্টস সুবিধা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

শিলাইদহের কুঠিবাড়ির সংস্কার কাজের সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং তিনটি সীমান্ত হাটের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

তবে তিস্তার পানির সুরাহা হয়নি। জোড় কোন আশ্বাস মেলেনি সীমান্ত হত্যা বন্ধেরও। বিশ্লেষকরা মনে করেন প্রত্যাশা অনুযায়ী পায়নি বাংলাদেশ। হতাশ হয়েছে  দেশবাসী। 

তবে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হাসান মনে করেন, স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে এটি নিমন্ত্রন সফর।  এই সফর আশা জাগানিয়া নয়। আরেক কুটনৈতিক বিশ্লেষক সমসের মুবিন চৌধুরী বলেছেন, ভারতের সাথে বেশ কিছু অমিমাংসিত বিষয় নিস্পত্তিতে বাংলাদেশের প্রত্যাশা বেশি ছিলো। তবে এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হয়েছে।  

সাবেক এই দুই কুটনীতিক মনে করেন, তিস্তার পানি সমস্যা নিয়ে বেশিদুর না গড়ালেও সীমান্ত হত্যা বন্ধে মতৈক্যে পৌছানো যেতো। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ভারত না চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধের সুযোগ নেই। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এবারও | তিস্তার | পানির | সুরাহা | হলো