দীর্ঘদিন যাবত লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার। সবজির দাম আগের তুলনায় সামান্য কমলেও এখনও ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। মাছ, মুরগির বাজারেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা এবং পটল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও, অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, শিম ২৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা এবং গাজর ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তুলনামূলকভাবে আলু ও পেঁপের দাম কম। প্রতি কেজি আলু ও পেঁপে ২৫–৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। পেঁয়াজের দাম সামান্য কমে ৬৫–৭০ টাকা হলেও বিভিন্ন এলাকায় ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় দাম বেশি। নতুন মৌসুমের সবজি ওঠার আগে দাম এমন থাকবে।
এদিকে চাষের মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় নদীর মাছ ও চিংড়ি, ইলিশের দাম বেড়েছে। ৭০০ গ্রাম সাইজের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকায়। ৪০০–৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতিকেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের চিংড়ি ৭৫০–৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০–১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতলা ৩৫০–৪২০, তেলাপিয়া ২২০–২৬০, পাঙ্গাশ ২০০–২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত। ব্রয়লার মুরগি ১৭০–১৮০, সোনালি জাতের মুরগি ৩০০–৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি ডজন ১৩৫–১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ভারত থেকে সরু নাজিরশাইল ও মোটা কয়েক পদের চাল আমদানি হওয়ায় চালের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮৪–৮৬, মোটা পায়জাম ও স্বর্ণা ৫৬–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মিনিকেট চালের দাম আগের মতো ৭৮–৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানায়, আমদানি বাড়লে চালের দাম আরও কমতে পারে।
এমএ//