দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের চূড়ান্ত ধাপে। এ সময় প্রকল্প ঘিরে নানা নেতিবাচক প্রচারণা উদ্বেগ বাড়ালেও কর্তৃপক্ষ বলছে এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জাহেদুল হাছান বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বায়েক), নিয়ন্ত্রক সংস্থা বায়রা ও আইএইএ’র অনুমোদন ছাড়া কোনোভাবেই কেন্দ্রটি চালু হবে না। নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
গত ১০–২৭ আগস্ট আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রি-অপারেশনাল সেফটি রিভিউ টিম (প্রি-ওসার্ট) রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শন করে। সংস্থাটি তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তিনটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ১,৫০০টি নন–নিউক্লিয়ার টেস্টের মধ্যে ইতিমধ্যে ৯০০ শেষ হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলোও দ্রুত সম্পন্ন হবে। এর আগে জ্বালানি লোডিং শুরু করার কোনো সুযোগ নেই।
কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই কেন্দ্র চালুর চেষ্টা চলছে।
তবে প্রকল্প কর্মকর্তারা একে পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, আইএইএ কোনো গোপন প্রতিবেদন দেয় না চূড়ান্ত হলে তা প্রকাশিত হয়। সুপারিশগুলো আসলে আন্তর্জাতিক মান পূরণেরই অংশ।
এনপিসিবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান বলেন, বেশিরভাগ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলো দ্রুত করা সম্ভব। প্রি-ওসার্ট মিশনের পর্যবেক্ষণ ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও জানান, রূপপুরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে কাজ শেষ হতে দেরি হলেও কোনো তাড়াহুড়ো করা হবে না। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করেই উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি।
আই/এ