আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতিতেও ফিরেনি স্বস্তি, চলছে ভয়াবহ 'ক্ষুদা সংকট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও স্বস্তি ফিরেনি ফিলিস্তিনিদের জীবনে। সেখানে ক্ষুধা ও অপুষ্টি পরিস্থিতি এখনও ‘বিপর্যয়কর’ বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইসরাইল মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বলে খাদ্যসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর বরাতে আলজাজিরা জানায়, গাজায় যে পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী ঢুকছে, তা জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণে একেবারেই নগণ্য।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)জানিয়েছে, তাদের প্রতিদিন দুই হাজার টন ত্রাণ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখনো সেই পরিমাণের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, কারণ ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে যাওয়ার জন্য মাত্র দুটি প্রবেশপথ খোলা রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, “গাজায় যে পরিমাণ খাদ্য ঢুকছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। যথেষ্ট খাদ্য না থাকায় ক্ষুধার পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।”

এর আগে চলতি বছরের আগস্টে গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়। সেসময় খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি জানিয়েছিল, পুরো গাজা উপত্যকায় ৫ লাখের বেশি মানুষ “বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে” রয়েছেন।

মার্কিন মধ্যস্থতায় গেল ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদারের কথা ছিল। জাতিসংঘ প্রতিদিন দুই হাজার টন ত্রাণ প্রবেশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তবে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৭৫০ টন খাদ্য গাজায় প্রবেশ করছে। কারণ ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে থাকা শুধু দুটি প্রবেশপথ খোলা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৮ হাজার ২৮০ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৫ জন।

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #গাজা #ইসরাইল #ফিলিস্তিন