মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে হবে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরও বৈঠকটি আয়োজন করা হচ্ছে। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর এটিই তাদের প্রথম বৈঠক।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক ব্রিফিংয়ে জানান, ‘ট্রাম্প ও শি-এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের সাইডলাইনে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।’
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের একটি দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছে। আমরা অনেক প্রশ্ন ও সংশয় দূর করতে পারব। আমি মনে করি, কিছু না কিছু সমাধান অবশ্যই হবে। এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।’
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের আলোচনা নিয়ে বেইজিং আশাবাদী। আগের আলোচনাগুলো প্রমাণ করেছে যে পরস্পরের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধান করা সম্ভব, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল ও টেকসই করবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, শি-এর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র–চীন সম্পর্কের জটিল বিষয়গুলো সমাধান করা সম্ভব। যেমন শুল্ক, বাণিজ্য বিরোধ, ফেন্টানিল পাচারসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায় তাদের সরাসরি কথা বলা।
ট্রাম্প তাঁর এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এছাড়া তিনি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান সম্মেলনেও যোগ দেবেন যেখানে মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিশেষ করে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গেও।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মে মাসে হওয়া এক বাণিজ্য সমঝোতার মাধ্যমে বড় ধরনের শুল্কযুদ্ধ আপাতত এড়ানো গেছে। তবে চলতি অক্টোবরেই চীন বিরল খনিজের (রেয়ার আর্থ) রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করলে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, নভেম্বর থেকে চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
চীন বিশ্বের বিরল খনিজ উৎপাদনকারি শীর্ষ দেশ। এসব উপাদান গাড়ি, স্মার্টফোনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিপণ্যে ব্যবহৃত হয়।
এসএইচ//