ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরসহ মোট ৩৭ জন ইসরাইলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
তুর্কি দৈনিক সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি হামলার সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতার তদন্তের অংশ হিসেবে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ৬৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি হত্যার অভিযোগ রয়েছে ইসরাইলি রাজনৈতিক ও সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, তুর্কি সংবাদমাধ্যম তুর্কিটুডে জানায়, গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত গণহত্যার অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি করেছে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিস।
প্রসিকিউটর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পরোয়ানা ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির, সীমান্ত ও নিরাপত্তামন্ত্রী ইয়াল জামির এবং ইসরাইলি নৌবাহিনীর কমান্ডার ডেভিড সার সালামাসহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে।
তুর্কি তদন্তকারীরা জানিয়েছে, প্রসিকিউটররা ২০২৩ সালের অক্টোবরের বেশ কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল এবং ২১ অক্টোবর এবলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালের ওপর হামলা। সেই হামলায় অসংখ্য বেসামরিক মানুষ হতাহত হন।
তুর্কি তদন্তকারীরা আরও উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাহায্যকর্মীদের হত্যাকাণ্ডও এই তদন্তের আওতায় রয়েছে, যেখানে মানবিক অভিযানের সময় একাধিক কর্মী নিহত বা আহত হন।
প্রসিকিউটররা ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র দেওয়া এক বিবৃতির দিকেও ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে বলা হয়েছিল—গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা সত্ত্বেও ইসরাইলি বাহিনী তা ব্যাহত করেছে।
এমএ//