কাগজে-কলমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজার আকাশে এখনও বোমার শব্দ ও ধুলোর ঝড় থামেনি। ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় প্রতিদিনই নতুন লাশ উদ্ধার হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬৯ হাজার ১৬৯ জন ফিলিস্তিনি।
রোববার (০৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
চুক্তির এক মাস পেরিয়ে গেলেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার উত্তর গাজায় ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রমের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা।
দক্ষিণ গাজায়ও একইভাবে আরও একজনকে হত্যা করা হয়েছে, যাকে তারা “তাৎক্ষণিক হুমকি” বলে দাবি করেছে। সীমান্তের কাছাকাছি আসা পরিবারগুলোর ওপরও গুলি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে খান ইউনিসে সেনাদের ফেলে যাওয়া একটি বিস্ফোরকে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজায় চিকিৎসা সেবার পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য রাফাহ সীমান্ত দ্রুত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে অন্তত ১৬ হাজার ৫০০ রোগী বিদেশে চিকিৎসার অপেক্ষায় আছেন।
পশ্চিম তীরেও পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। সেখানে ফিলিস্তিনিদের জমি দখলে নিতে বসতি স্থাপনকারীদের হামলা বেড়েছে। শনিবার নাবলুসের কাছে বেইতা গ্রামে জলপাই তোলার সময় মুখোশধারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা লাঠি-পাথর নিয়ে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন সাংবাদিক ও ৭০ বছর বয়সি এক কৃষক।
প্যালেস্টাইন সাংবাদিক সংগঠন জানিয়েছে, তাদের পাঁচ সদস্য—রানিন সাওয়াফতে, মোহাম্মদ আল-আত্রাশ, লুয়াই সাঈদ, নাসের ইশতাইয়েহ ও নাঈল বুয়াইতেল— আহত হয়েছেন। রয়টার্সের দুই কর্মীও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এমএ//