যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে (এনওয়াইপিডি) প্রথম দক্ষিণ এশীয় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামসুল হক। এটি এনওয়াইপিডির ইতিহাসে দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ পদোন্নতির নজির।
তার বাড়ি সিলেটে গোলাপগঞ্জের বাঘার গ্রামে। স্ত্রী রুবিনা হক ও দুই ছেলে নিয়ে তিনি নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করেন।
১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান শামসুল হক। শুরুতে রেস্তোরাঁয় বাস বয়, ডেলিভারিম্যান, ম্যানেজারের মতো সাধারণ পেশায় কাজ করলেও ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০০৪ সালে তিনি এনওয়াইপিডিতে যোগদানের সুযোগ পান। এরপর ২০১০ সালে সার্জেন্ট এবং পরে লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন। সবশেষ ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি সরকারি এক অনুষ্ঠানে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পদে পদোন্নতি পান তিনি।
পুলিশ পেশায় তাঁর এই অগ্রযাত্রা যেমন ব্যক্তিগত সাফল্য, তেমনি বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী সম্প্রদায়ের জন্যও অনুপ্রেরণা। শামসুল হক Bangladeshi American Police Association (BAPA) প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশি-আমেরিকান যুবকদের আইন প্রয়োগকারী পেশায় যুক্ত হতে উৎসাহিত করছে। তাঁর নেতৃত্বে এনওয়াইপিডিতে যোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা ও ডিটেকটিভ।
পদোন্নতি পাওয়ার পর শামসুল হক বলেন, “আমি চাই নতুন প্রজন্ম আরও বেশি করে পুলিশ পেশায় আসুক এবং আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করুক।”
নিউইয়র্কের বহুজাতিক পুলিশ বাহিনীতে শামসুল হকের এই অবস্থান দক্ষিণ এশীয় বিশেষ করে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এসএইচ//