দেশজুড়ে

শীতে জমে গেছে পঞ্চগড়

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের আকাশে কুয়াশার সাদা চাদর আর বাতাসে শীতের হিমেল ছোঁয়া। তেঁতুলিয়ার উত্তরে শুরু হয়েছে প্রকৃতির শীতল অঙ্কুরণ। ডিসেম্বরের শেষের দিকে পৌঁছে যখন সারা দিন সূর্যের দেখা মেলে না, তখন শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্থানীয়দের জন্য ছিল হাড়কাঁপানো। শীতের এ দৃশ্য শুধু প্রকৃতিতেই নয়, মানুষজনের জীবনযাত্রায়ও প্রবল প্রভাব ফেলছে।

স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকালে ঘর থেকে বের হতে না হতেই হাত-পা অবশ হয়ে যায়। কাজকর্মে একপ্রকার বাধা সৃষ্টি হয়েছে। শীতের সঙ্গে সঙ্গেই কুয়াশা যেন সবকিছু আরও জটিল করে তুলেছে। একদিকে ঠান্ডা, অন্যদিকে কুয়াশা—এই অবস্থায় সঠিকভাবে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

এর আগে, ২০ ডিসেম্বর শনিবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ, যার কারণে কুয়াশার দাপট বাড়লেও সূর্যদয় ঘটেনি সকাল ১০টা পর্যন্ত। সেইদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কিছুটা বেশি হলেও ঠান্ডার অনুভূতি কমেনি। আর্দ্রতার কারণে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শনিবারের পর রোববারে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার কমে গেছে। আর্দ্রতার কারণে শীত আরও তীব্র অনুভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই শীতে প্রকৃতি যেমন রূপ নেয়, তেমনি মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে নতুন এক চ্যালেঞ্জ। তবে তেঁতুলিয়ার শীতের মধ্যে একটি বিষণ্ণ সৌন্দর্যও আছে, যা বছরের অন্যান্য সময়গুলোকে যেন এক নতুন আঙ্গিকে দেখায়।

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #পঞ্চগড় #শীত #তেঁতুলিয়া