আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

শীতে সোনামনিদের জন্য মায়েদের করণীয়

শীতে সোনামনিদের জন্য মায়েদের করণীয়

শীতের সময়টা এলেই আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় শিশুদের ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। এই শুষ্ক আবহাওয়া শিশুর ত্বকের জন্য ও ক্ষতিকর। এ সময়টাতে আদরের সোনামনিকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান মায়েরা। 

এদিকে হঠাৎ করেই তীব্র ঠাণ্ডা পড়ে গেলো। আর সোনামণিরা সহজেই কাবু হতে পারে এই ঠাণ্ডায়। এ সময় শিশুদের জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা। একটু অযত্ন হলেই শিশুর নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই এই মৌসুমে শিশুর ত্বকে চাই বিশেষ যত্ন।  

অনেক সময় দেখা যায় যে, বাড়ির বড় কারো ঠাণ্ডা লাগলে তারা শিশুদের সামনে হাঁচি বা কাশি দেয়। একটা বড় মানুষের হাঁচিতে লক্ষ লক্ষ জীবাণু থাকে। যা বাচ্চাদের শ্বাসের মাধ্যমে ঢুকে তাদেরকে আক্রান্ত করে ফেলে।

শীতের সময় বাতাসে অনেক জীবাণু বেশি থাকে। বিশেষ করে ভাইরাস বেশি থাকে যা শ্বাস নালীর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মামসের মতো রোগের সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুন ঃ

চোখের পাতা কাঁপে কেন? আসল কারণ জানুন

শীতের খুসখুসে কাশির ঘরোয়া পাঁচ চিকিৎসা​

শীতকালে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের ভাইরাল ডায়রিয়া হয় যাকে রোটা ডায়রিয়া বলে।

এছাড়া যেসব রোগ দেখা যায় সেগুলো হল-

• নিউমোনিয়া,

• ডায়রিয়া,

• গ্যাসট্রোএনটারাইটিস বা খাবারে বিষক্রিয়া,

• অ্যাজমা, আগে থেকে থাকলে এসময় সেটা আবার এ্যাটাক হয়,

• টনসিলাইটিস,

• প্যারোটাইটিস বা মামস,

• ইনফ্লুয়েঞ্জা

• যেসব শিশুর এ্যালার্জী থাকে তাদের শ্বাসকষ্ট হয়

শীতের সময় শিশুদের জন্য মায়েদের করনীয় 

শিশুকে সারা বছরই উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। ঠাণ্ডা-সর্দি এড়াতে গোসলের পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভালো করে শিশুর শরীর মুছে দিন।

শীতে শিশুর শরীর ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার বা বডি লোশন দিয়ে মাসাজ করুন নিয়মিত। অলিভ অয়েল বা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ অয়েল ব্যবহার করুন।

বাইরে বের করার সময় শিশুকে অবশ্যই সোয়েটার পড়িয়ে বের করবেন। পা মোজা তো পড়াবেন অবশ্যই। বেশি ঠাণ্ডা বাতাস থাকলে কান টুপি পড়িয়ে দিন।

সকালের রোদে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। আর শীতের সকালে রোড মিষ্টি থাকে, তাই শিশুর গায়ে রোদ লাগতে দিন।

ঘরে ঠাণ্ডা বেশি হলে বাচ্চাকে নরম কাপড়ের জুতো পরিয়ে দিন, পায়ে ঠাণ্ডা লাগবে না । রাতের বেলা মোজা পরিয়ে ও রাখতে পারেন।

বেশি ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গেলে শিশুর নাকে নাসাল ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন । এতে শিশু আরামে ঘুমাতে পারবে ।

এই আবহাওয়ায় শিশুদের জ্বর-কাশি ভাইরাসজনিত। জ্বরের জন্য পেরাসিটামল, কাশির জন্য নরসল নাকের ড্রপ আর নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানোই মূল চিকিৎসা। 

শীতের সময় ঠাণ্ডা পানি ও ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে শিশুরা খাপ-খাওয়াতে পারে না। শিশুদের সুস্থ্য রাখতে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

শিশু বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক গবেষক ডা. কামরান-উল বাসেত।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শীতে | সোনামনিদের | জন্য | মায়েদের | করণীয়