দেড় মাস পর চোখ মেলে তাকালেন ঢাকাই সিনেমার মিয়া ভাই খ্যাত নায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সেই সুখে হাউমাউ করে কাঁদলেন তার সহধর্মিণী ফারহানা ফারুক। আবেগে আপ্লুত হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে মিডিয়াকে এ খবর নিশ্চিত করেন তার সহধর্মিণী।
ফারহানা ফারুক বলেন, ‘ফারুককে সারিয়ে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। শুরু থেকেই তারা শুধু বলে আসছেন ধৈর্য ধরতে। এত দিন পর ধৈর্যের ফল পেলাম। দেড় মাস পর মঙ্গলবার বিকেলে চোখ মেলে তাকান ফারুক। কথাও বলেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি আমাকে চিনেছ? উত্তরে ফারুক বলল, কেন চিনব না। এটা আবার কেমন কথা। এমন পরিস্থিতে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। মুহূর্তেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলি।’
দীর্ঘ এই সময় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে অচেতন ছিলেন দেশের এই কিংবদন্তি নায়ক। মাঝে মধ্যেই হাত-পা নাড়ালেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। অবশেষে মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল চোখ মেলে তাকানোর পর কথা বলেন। এরপর ফারুককে আইসিইউ থেকে হাসপাতালটির আটতলায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলেও জানান ফারহানা ফারুক।
ডাক্তারদের বরাত দিয়ে ফারহানা ফারুক বলেন, ভয়ের আশঙ্কা অনেকটাই কেটে গেছে। রক্তচাপ ও মস্তিষ্কে যে সমস্যা ছিল, তা চিকিৎসকরা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। ধীরে ধীরে ফারুক সুস্থ হয়ে উঠছেন। ফারুক এখন ভালো আছেন। কেবিনে নেয়া হয়েছে।
ফারহানা ফারুক দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ফারুকের জন্য দোয়া চেয়েছেন, যাতে শিগগিরই সুস্থ হয়ে তাদের প্রিয় নায়ক নিজের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারেন।
আট বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এই অভিনয়শিল্পী। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম দিকে সিঙ্গাপুরে যান তিনি। শারীরিক অবস্থার কিছু পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিন পর তার মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই অচেতন ছিলেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।
এস