বিশ্বের মাত্র ১০টি দেশে করোনার ভ্যাকসিনের ৭৫ ভাগ যাচ্ছে কিন্তু এখনো একজনকেও টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া যায়নি প্রায় ১৩০টি দেশে। গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচ প্রধান ড. টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি জানায়, গতকাল শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভা সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিং করেন মহাপরিচালক ড. টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমানে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যার চেয়ে টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। অল্প সময়ে এটা বিরাট সাফল্য। এক দিক থেকে অবশ্যই আনন্দের খবর। তবে বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশের প্রায় ২৫০ কোটি মানুষকে এখনো ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়নি।
বক্তব্যে ধনী দেশগুলোকে তাদের স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কদের টিকাদান শেষে বেঁচে যাওয়া ভ্যাকসিনগুলো গরিব দেশগুলোকে দিয়ে সাহায্য করার আহ্বান জানান ড. গ্যাব্রিয়াসুস। টিকা উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ানো প্রয়োজন বলেও জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
রয়টার্স জানায়, গেল সপ্তাহে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার উৎপাদনে সহায়তা দিতে নিজেদের অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান সানোফি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই উদাহরণ অনুসরণের আহ্বান জানায় তারা।
সানোফি জানিয়েছিল, ফাইজারকে আগামী জুলাই থেকে চলতি বছর ১০ কোটি ডোজের বেশি টিকা সরবরাহে সহায়তা দিতে চায় তারা। এছাড়া করোনার টিকা উৎপাদনে সহায়তা করতে এগিয়ে আসছে আরো একাধিক প্রতিষ্ঠান।
রয়টার্স জানিয়েছে, ফাইজারের টিকা উৎপাদনে সহায়তার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সুইজারল্যান্ডের নোভারটিস। এছাড়াও কিওরভ্যাক টিকা উৎপাদনে সাহায্য করবে জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়ার।
এসএন