ইতালিতে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নতুন করে ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাংলাদেশসহ তিন দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে সই করেন ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোবেরতো স্পেরেন্সা। এর আগে ১৫ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
ইতালির গণমাধ্যম জানায়, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এ নিয়ে তিনবার বাড়ানো হলো। ৩০ মে’র পর নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে কিনা তা নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গেল মাসে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে শুধুমাত্র যাদের ইতালির পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব আছে তাদের ক্ষেত্রে ২৯ এপ্রিলের আগে থেকে ইতালিতে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকা সাপেক্ষে নিজ দেশ ফেরায় কোনো বাধা নেই।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেকোনো দেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশের পর ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইন তুলে নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার থেকে এটি কার্যকর শুরু হয়েছে।
এর আগেও করোনা সংক্রমণের ভয়ে একবার বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করেছিল ইতালি। গেল বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কায় ইউরোপের টালমাটালের সময় দেশটিতে দীর্ঘদিন যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। শেষে সাত জুলাই ভাড়া করা বিশেষ উড়োজাহাজে করে ইতালি যায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশটিতে পৌঁছার পর ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এরপর বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইতালি সরকার। পরে কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ায় দেশটি। ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়।
এসএন
