ভারতে প্রবল শক্তি নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় টাউকটে। উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালানোর পর আজ সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়বে এটি। এরই মধ্যে গুজরাট উপকূলে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলাকা। ভারতে চলতি বছর এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়।
ভারতের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার রাত থেকে কাল মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। বর্তমানে মুম্বাই উপকূলের ২০০ কিলোমিটার দূরে বয়ে যাচ্ছে এটি। গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ইতোমধ্যে রাজ্যগুলোয় সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আগামী তিন ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের পুণে এবং নাসিকে তীব্র ঝড়ো হাওয়ার উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দুর্যোগেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে। হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং অক্সিজেন সরবরাহের ওপর জোর দিচ্ছে তার সরকার।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকা থেকে দেড় লাখ অধিবাসীকে সরানো হচ্ছে। গেলো ২৩ বছরের মধ্যে টাউকটে ভারতীয় সমুদ্র উপকূলে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় টাউকটে নামটি মিয়ানমারের দেওয়া। এর অর্থ অতি উচ্চ স্বরযুক্ত টিকটিকি।
এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় টাউকটের প্রভাবে কেরালাসহ বিভিন্ন রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তলিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি। বিপর্যস্ত হয়েছে কেরালার প্রায় অর্ধেক জেলা। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় কেরালায় কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গেছে। বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ছয়জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায়, কেরালা, কর্ণাটক ও গোয়া উপকূলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর আশঙ্কায় উপকূলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জরুরি সহায়তার জন্য কয়েক শ' অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গুজরাট, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ৫০টির বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য বিমান বাহিনীর ১৬টি বিমান ও ১৮টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাড়তি সতর্কতার জন্য নৌবাহিনীর কয়েকটি ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসএন
