আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভাড়া নিয়ে মতানৈক্য, রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে গেলো অ্যাম্বুলেন্স

ভাড়া নিয়ে মতানৈক্য, রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে গেলো অ্যাম্বুলেন্স

ভাড়া নিয়ে মতানৈক্যের জেরে বাড়ির সামনের রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে গেলে্ অ্যাম্বুলেন্স চালক। দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ কয়েকঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত সৎকার করা হয় মৃতদেহটি।

ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনা নোদাখালির আন্তর্গত চকমানিক গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। 

করোনার কারণে বিধিনিষেধের ফলে এমনিতেই রাস্তায় কোন গাড়ি নেই। যার ফলে প্রতিনিয়ত অ্যাম্বুলেন্স পেতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এর মধ্যেই চকমানিক এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার বিকেলে হঠাৎ করে তার হৃদযন্ত্রের সমস্যা শুরু হয়। অনেক কষ্টে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। পথিমধ্যেই মৃত্যু হয় অভিজিতের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

এর পরেই অ্যাম্বুলেন্স চালক নানারকম যুক্তি খাড়া দেখাতে শুরু করেন। মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার বদলে অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রচুর টাকা দাবি করে বসে বলে অভিযোগ করে মৃতের পরিবারের। শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ গাড়িতে তুলতে রাজি হয়ে হাসপাতাল থেকে রওনা দিলেও মাঝপথেই মৃতদেহ ফেলে চলে যায় চালক। মৃতের মা ছেলের দেহ বাড়িতে ফেরানোর জন্য রাস্তায় বসেই কান্নাকাটি শুরু করেন। স্থানীয় মানুষ ঘটনা লক্ষ্য করে এগিয়ে আসলে খবর যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে।

পরে বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন ঘটনাস্থলে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পিপিই পরে শববাহী গাড়িতে তুলে দেন অভিজিৎ রায়ের দেহটি। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বজবজ কালীবাড়ি চিত্রলগঞ্জে। রাতে সেরে ফেলা হয় দাহ। 

এ বিষয়ে সভাপতি বুচান বলেন, অসাধু এই অ্যাম্বুলেন্স চালক অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভাড়া | নিয়ে | মতানৈক্য | রাস্তায় | মৃতদেহ | ফেলে | গেলো | অ্যাম্বুলেন্স