নরসিংদীতে ঈদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হলে সাদিয়া ইসলাম তানহা (২) নামে এক শিশুকে গলাটিপে হত্যা করে তার মা। গত ১৩ মে নরসিংদী সদরের বানিয়াছল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) এই মামলার জবানবন্দি ও আদালতে চার্জশিট দাখিল করে বলে নরসিংদী জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে গত ১৭ মে সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘাতক মহিলার স্বামী মো: সোহাগ বাদি হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
নিহত শিশু সাদিয়া ইসলাম তানহা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মো:সোহাগ মিয়া ও কোহিনূর বেগমের কন্যা। অন্যদিকে অভিযুক্ত কোহিনূর বেগমের (২৪) বাবার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা দড়ি হাইরমারা এলাকায়। তার পিতার নাম আবদুর রউফ মিয়া। অভিযুক্ত কুহিনূর ও স্বামী সোহাগ শিশু তানহাকে নিয়ে নরসিংদী সদরের বানিয়াছল এলাকায় রানী বেগম নামে এক মহিলার বাড়িতে ভাড়া থাকতো ।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, গত ১৩ মে সন্ধ্যায় বানিয়াছলের ভাড়া বাসায় ঈদুল ফিতরের আগের দিন ঈদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে স্বামী সোহাগ মিয়া ও স্ত্রী কোহিনুর বেগমের কলহ সৃষ্টি হয় । এসময় ঝগড়ার এক পর্যায়ে শিশু তানহার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্ত্রী কোহিনুর। পরে এই লাশ কোহিনুরের বাবার বাড়ি রায়পুরার দড়িহাইরমারা এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় কোহিনুর।
পরবর্তীতে ১৭ মে শিশু তানহার পিতা ও অভিযুক্ত কুহিনূরের স্বামী মোঃ সোহাগ বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নরসিংদী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, শিশু তানহার মা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে জবাবন্দি পেয়েছি আমরা। এই ঘটনায় পুলিশ খুব দ্রুত কাজ করেছে। অভিযোগের মাত্র ৩ দিনের মধ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সহ সকল কাজ সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।
শুভ মাহফুজ
