ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে, উপকূলীয় নদ-নদীর ভাঙা বাঁধ ও বাঁধ উপচে পানিতে, ডুবে আছে নিম্নাঞ্চলের গ্রামের পর গ্রাম। সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ, কাকশিয়ালি, খোলপেটুয়াসহ চারটি নদীর ১৬টি পয়েন্টের ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে আছে। পানিতে মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষীরা।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিষখালী নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ১৫টি গ্রামের মানুষ বন্দী দিন কাটাচ্ছেন। পিরোজপুরে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বরগুনায় পানিতে ডুবে আছে ৫০টি এলাকা। নোয়াখালীর হাতিয়ায় পানিবন্দী আছে হাজারো মানুষ। উপজেলার সুখচরে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে এক শিশু।
এছাড়াও কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপ পার্র্থক্যের আধিক্য ও সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।