ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বড়বাড়ি এলাকায় সিএনজি স্টেশনে কাভার্ডভ্যানের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আল আমিন হোসেন (২৫) নামের আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৮টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
তিনি জানান, আল আমিনের শরীরে ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। পাশাপাশি শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শ্রীরামকান্দি গ্রামে। বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। তিনি গাজীপুর বোর্ডবাজার বটতলা এলাকায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পারভিনকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন ও একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন।
এর আগে শুক্রবার আতিকুল ইসলাম মিঠু (২৬) নামে একজন এবং সোমবার পারভেজ নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিস্ফোরণে মোট তিনজনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই এলাকার হাজি ওহেদ আলী সরকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালক এবং সহকারীসহ তিনজন গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হলে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি কাভার্ডভ্যান শতাধিক সিলিন্ডার নিয়ে বড়বাড়ি কুনিয়া এলাকার হাজি ওয়াহেদ আলী সিএনজি স্টেশনে গ্যাস নিতে আসে। গ্যাস নেওয়ার সময় হঠাৎ একটি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই কাভার্ডভ্যানটিতে আগুন ধরে যায় এবং সে আগুন সিএনজি স্টেশনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কাভার্ডভ্যান ও পাশে থাকা পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে খবর দেয়।
টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার ইকবাল হাসান জানান, আগুনের খবর পেয়ে ওই স্থানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। এ ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।