ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সময় গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রংপুরেও। তারপরও সমাবেশের আগের রাতেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন।
বিএনপির চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে শুরু হবে সমাবেশের মূল কার্যক্রম। তবে তার
আগে রাতেই দলে দলে সমাবেশে হাজির হয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রংপুরে বন্ধ আছে বাস চলাচল। সম্মেলনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সবধরণের পরিবহনের ধর্মঘট আসে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্মঘটের কথা বলা হলেও কার্যত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অনেক রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে মাঠে মঞ্চের কাজ। নানা ধরনের বাধা উপেক্ষা করে যেসব নেতা-কর্মীরা যাচ্ছেন তারা অবস্থান নিচ্ছেন সমাবেশস্থলের মাঠেই।
সন্ধ্যার আগে থেকেই মাঠে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে শুরু করেন।
রাত ১০টার দিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থল পরিদর্শনে যান। সে সময় তিনি মঞ্চ থেকে হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। মাঠে তার আগমনে যেন প্রাণ ফিরে পান নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে নগর পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যত রাত বাড়ছে, নেতা-কর্মীর ভিড় তত বাড়ছে। পুরো সমাবেশস্থল ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে মাতিয়ে রাখেন।
রাতের বেলায় রংপুরের পাশের জেলা-উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলে বিচ্ছিন্নভাবে আসছেন কর্মীরা। এসব মোটরসাইকেল সমাবেশস্থলের অদূরে রেখে ছোটে ছোট মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন তারা।