বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন কেনাকাটায় প্রায় ৪ কোটি টাকার অনিয়ম ও লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্রের একটি বড় অংশ, আর নেই সঠিক হিসাব-নিকাশের নথিও।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমীর হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের দফতরে অভিযান চালিয়ে একাধিক নথি সংগ্রহ করে।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রেল ট্র্যাকের পাথর ও বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মূল্য দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আমীর হোসেন জানান, ‘অডিট রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রেলওয়ে ট্র্যাকের পাথর, ট্রেন মেরামতের যন্ত্রাংশ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপকরণ, প্রিন্টার, ওয়াকিটকি ব্যাটারি, টেলিভিশন, পোশাক, ফ্লোর ম্যাট ও কাগজসহ কয়েকটি আইটেমে খরচ অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। আমরা সেসবের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের অডিট আপত্তিগুলো এখনও রেল কর্তৃপক্ষ নিষ্পত্তি করেনি। আমরা সব ক্রয়সংক্রান্ত নথি জব্দ করেছি এবং যাচাই-বাছাই চলছে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফারিদ আহমেদ বলেন, ‘আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। কয়েক বছর আগের অনিয়ম সম্পর্কে অবগত নই। দুদক দল যে নথি চেয়েছে, তা আমরা সরবরাহ করেছি। এখন তারা নিয়ম অনুযায়ী যাচাই করবে।’
এমএ//
