আর্কাইভ থেকে এশিয়া

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ, কর্মবিরতির আহ্বান সরকারি দপ্তরে

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ, কর্মবিরতির আহ্বান সরকারি দপ্তরে

মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধীরা । আজ আরো বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা। সোমবার থেকে সব সরকারি দপ্তরে কর্মবিরতি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ আটক নির্বাচিত নেতাদের মুক্তির আন্দোলনে ধীরে ধীরে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ছে। গেল এক ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেন সেনাপ্রধান ও জেষ্ঠ্য জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

বিবিসি জানায়, গতকাল রোববার সামরিক জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে সবচেয়ে বড় গণজমায়েত হয়।

ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক-ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুক পোস্টে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভের নেতা এই থিঞ্জার মং বলেন, ইয়াঙ্গুনের প্রতিটি এলাকা থেকে বেরিয়ে আসুন, শান্তিপূর্ণভাবে গণজমায়েতে অংশ নিন।

সেনাশাসনের সাত দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও বিক্ষোভ-সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণ রয়েছে। ১৯৮৮ এবং ২০০৭ সালের মতো দমন-পীড়ন ঘটেনি। তবে গতকাল রোববার ইয়াঙ্গুনে কয়েকটি সেনা ট্রাক চলাচল করেছে। এতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তিত হতে পারে।

নিজেদের ফেসবুক পেইজে দুই বিক্ষোভকারী মং সাউঙ্খা ও থেট সি উইন জানিয়েছে, তাদের বাড়িতে পুলিশ খুঁজতে গিয়েছিল। অন্য স্থানে রয়েছে তারা। পাশাপাশি এখনো মুক্ত আছে।

কর্মবিরতির ডাক;

বিক্ষোভকারীদের রাজপথ দেখায় মিয়ানমারের চিকিৎসকরা। সেনা অভ্যুত্থানের দুদিন পরই কর্মবিরতির মাধ্যমে প্রতিবাদ করে ৩০টি শহরের প্রায় ৭০টি হাসপাতালের চিকিৎসক। পরে তাতে যুক্ত হয় ইয়াঙ্গুনসহ কয়েকটি শহরের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। চলমান আন্দোলনে যোগ দেয় সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের অনেকেই।

আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় মিন কো নাইং বলেন, সোমবার থেকে সব সরকারি দপ্তরের কর্মীদের কাজে যোগ না দেওয়ার অনুরোধ করছি। ১৯৮৮ সালে অং সান সু কিকে সামনে আনেন মিন কো নাইং।

ইন্টারনেট সেবা চালু;

মিয়ানমারে গতকাল রোববার সারাদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর তা আবারো চালু হয়েছে। ক্ষোভের মাত্রা বেড়ে রোববার প্রতিবাদে অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার ও ছবি শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রাম এখনো ব্লক রয়েছে।

এদিকে, দেশটির সামরিক জান্তার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সোচ্চার অবস্থান আরো জোরদার হচ্ছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ অনেক দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দার পাশাপাশি সু চির মুক্তি দাবি করেছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মিয়ানমারে | জান্তাবিরোধী | ব্যাপক | বিক্ষোভ | কর্মবিরতির | আহ্বান | সরকারি | দপ্তরে