নিজের নামে সরকারি জমি লিখে নিয়ে গুলশানে বাড়ি বানানোর অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজউক চেয়ারম্যান, গণপূর্ত সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এ বিষয়ে ওইদিন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়িটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। ওই বাড়ি সালাম মুর্শেদী দখল করে বসবাস করছেন। বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাউজক) চেয়ারম্যানের কাছে ২০১৫ ও ১৬ সালে জানতে চাইলেও কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। এছাড়া ওই জমির নামজারি ও দলিলের বিষয়ে জানতে চেয়ে চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজউকে আবারও চিঠি দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এখনও যার জবাব মেলেনি।
তিনি বলেন, এমপি হওয়ার সুযোগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বা রাজউকের সহায়তায় সালাম মুর্শেদী ওই বাড়ি দখল করে রয়েছেন। বিষয়টি অনুসন্ধান করে আব্দুস সালাম মুর্শেদী এবং রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট করেন তিনি।