গেলো রোববার বিশ্বকাপের সুপারটুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারের পর সেমিফাইনালের আশার আলো পুরোদমেই নিভে যায় বাংলাদেশের। অর্থাৎ এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাত্রার সমাপ্তি ঘটল। এরই সঙ্গে প্রশ্ন উঠল— এটিই কি সাকিব আল হাসানের শেষ বিশ্বকাপ? ২০২৪ বিশ্বকাপে দেখা যাবে কি তাকে লাল-সবুজের জার্সিতে? কারণ বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে। পরের বিশ্বকাপের সময় সাকিবের বয়স হবে ৩৭।
অবশ্য ফিট থাকলে আর মাঠের পারফরম্যান্স কথা বললে ৪০ পেরিয়ে গেলেও ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় বিশ্বে।
প্রশ্নের জবাবে সাকিবও সেই প্রসঙ্গই টানলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ড্যানি মরিসন প্রশ্নটি করেন।
জবাবে সাকিব বলেন, আমি আসলে এ বিষয়ে জানি না। বাংলাদেশের হয়ে যত বছর সম্ভব খেলার চেষ্টা করব। আমাকে ফিট থাকতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে।
এবারের টি-টোয়েন্টিতে নিজের পারফরম্যান্স মোটেই খুশি নন সাকিব। সে কথা অকপটে স্বীকার করে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিক থেকে এটি আমার জন্য আদর্শ টুর্নামেন্ট ছিল না। আমি মনে করি, আমি আরও ভালো বোলিং-ব্যাটিং করতে পারতাম। তাই যতদিন ফিট আছি এবং দলের জন্য অবদান রাখছি, আমি খেলব। এর পরও দলীয় সাফল্য হিসাবে এটিই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ বলে উল্লেখ করলেন সাকিব।
দেশসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, ফলের বিবেচনায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই আমাদের সেরা আসর। আমি মনে করি, আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমাদের সেই সুযোগ ছিল। নতুন ছেলেরা এসেছে, অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অন্তত এটুকুর আশা ছিল আমাদের।
এবারের বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে সাকিব করেছেন সর্বসাকল্যে ৪৪ রান। বল হাতে কিছুটা সাফল্য পেয়েছেন যদিও। ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন তারকা এ অলরাউন্ডার। এর পরও বলাই বাহুল্য সাকিব নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।