প্রশ্ন সেটিং এমনভাবে হয় মডারেটরের বাইরে ওই প্রশ্নের একটি অক্ষরও কারো দেখার সুযোগ থাকে না। আমাদের একদম সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়া থাকে- কী কী বিষয় মাথায় রেখে এ প্রশ্নগুলো তারা করবেন। বললেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িকতার উসকানি নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন সেটিং বা প্রশ্ন মডারেটিং এমনভাবে হয় যে, যিনি প্রশ্ন সেট করে যান তিনি আর সেটি দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করে যান তিনিও আর পুনরায় তা দেখতে পারেন না। একই সঙ্গে মডারেটরের বাইরে ওই প্রশ্নের একটি অক্ষরও কারো দেখার সুযোগ থাকে না।
তিনি আরও বলেন, সেক্ষেত্রে প্রশ্নে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাও যেন না থাকে সেটিও নির্দেশনায় আছে। খুবই দুঃখজনক কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো প্রশ্নটি করেছেন এবং যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনোভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন অথবা তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি এ প্রশ্ন কোন মডারেটর করেছেন। একই সঙ্গে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
দিপু মনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের দেশ। এ দেশে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির মতো কিছু থাকবে তা খুবই দুঃখজনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে যারা সাম্প্রদায়িক উসকানির বীজ বপন করতে চায় তাদের ভবিষ্যতে এসব কাজের সঙ্গে (প্রশ্নপত্র সেটিং-মডারেটিং) আর সম্পৃক্ত করা হবে না। একই সঙ্গে যারা প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।