দেশের আট বিভাগে নতুন ৮টি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ হবে। হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৪ হাজার শয্যা থাকবে। হাসপাতালগুলো হয়ে গেলে দেশের মানুষকে আর বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। বললেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খুলনা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মান সন্তোষজনক। তবে এটাকে আরও ভালোর দিকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। তাই ডাক্তারদের কর্মক্ষেত্রে রোগীদের প্রতি মানবিক আবেগ থাকতে হবে। খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা ৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। আন্যদিকে সেই একই সেবা বেসরকারি হাসপাতালে পেতে মানুষকে প্রায় দশগুণ টাকা খরচ করতে হয়। হাসপাতালগুলো জনবলের ঘাটতি থাকলে চিকিৎসা সেবায়ও কিছুটা ঘাটতি হতে পারে। তবে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।
তিনি বলেন, জেলার সকল হাসপাতালে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট ও ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। করোনাকালে দেশের ১২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। দেশে চলমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সফলতা ৯৮ শতাংশের বেশি। দেশের জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোর শতভাগ বেডে রোগী ভর্তি থাকছে যা দেশের স্বাস্থ্যসেবার ওপর মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
দেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বাসাবাড়ি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। শিশুদের দিকে নজর রাখতে হবে। অনেক দেশেই ডেঙ্গু বেড়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়। আমাদের সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। শয্যা বরাদ্দ আছে, ওষুধ আছে, চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন সব-ই আছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলো সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ভালো থাকলে রোগীরা ভালো সেবা পাবেন। রোগীর চিকিৎসা ব্যয় কমাতে রোগ নির্ণয়ের সকল পরীক্ষা যথাসম্ভব সরকারি হাসপাতালে করানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যখাতের প্রতি সব সময় নজর রাখেন। তার চেষ্টায় করোনাকালে দেশে চিকিৎসা সেবা চালু থেকেছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। দেশে কোভিড ভ্যাক্সিনের কাভারেজ ৮০ শতাংশের বেশি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
খুলনা সিটি ইনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়র হোসেন হাওলাদার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এতে স্বাগত জানান খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ।