সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা ঝুমন দাস মুচলেকা দিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। মুচলেকায় তিনি উল্লেখ্য করেন, ভবিষ্যতে ফেসবুকে উসকানিমূলক ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কোনো পোস্ট দেবেন না।
আজ রোববার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের জামিন দেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। তিনি আদালতে ঝুমন দাসের পক্ষে শুনানি করেন।
২০২১ সালের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত সমাবেশে তৎকালীন আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আসার পরের দিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস।
এ ঘটনা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে হেফাজত ইসলামের স্থানীয় সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁওয়ে শতাধিক হিন্দু বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। যা সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। উসকানিমূলক স্ট্যাটাসের দায়ে ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় প্রায় ৭ মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হন।
জামিনে মুক্তির শেষ সময়ে এসে ফের গেলো ২৮ আগস্ট ফেসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অপরাধে ৩০ আগস্ট দুপুরে শাল্লা থানা পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পোস্ট দেয়ার বিষয় স্বীকার করলে রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।