অত্যধিক দূষণ, সঠিকভাবে যত্ন না নেয়া, রুক্ষ আবহাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা- এমন বেশ কিছু কারণে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে শীত মৌসুমে। সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি দেখা যায়, তা হল চুল পড়া। মাথায় চিরুনি চালালেই উঠে আসছে গোছা গোছা চুল। অনেকেই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ভরসা রাখেন বাজারে পাওয়া বেশ কিছু প্রসাধনীর উপর। তাতে সাময়িক কাজ হলেও, দীর্ঘস্থায়ী কোনও উপকার পাওয়া যায় না। চুলের যত্নে প্রসাধনীর চেয়ে ভরসা রাখতে পারেন চির পরিচিত কিছু তেলের উপর। যার মাধ্যমে সহজেই মুক্তি মিলবে চুল পড়ার সমস্যা থেকে।
কাঠবাদাম তেল
ওমেগা ৯, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই তেল চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অন্য মৌসুমের চেয়ে শীতকালে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায় বেশি। এর কারণ মূলত বাতাসে আর্দ্রতার অভাব। ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও প্রয়োজন পর্যাপ্ত আর্দ্রতা। শীতে তার অভাব ঘটলে চুল ঝরতে শুরু করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে কাঠবাদাম তেল।
নারকেল তেল
চুলের হাল ফেরাতে এই তেলের ভূমিকা অনন্য। চুল পড়ার সমস্যা থেকে জেল্লা ফেরানো- সব কিছুতেই নারকেল তেল উপকারী। নারকেল তেল চুলে পুষ্টির জোগান দেয়। নারকেল তেলে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই, যা রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলের জৌলুস ফিরিয়ে আনে চটজলদি। রোজ না হলেও সপ্তাহে কয়েক দিন অন্তত চুলের যত্নে ব্যবহার করুন নারকেল তেল।
অলিভ অয়েল
শরীরে মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন অলিভ অয়েলে তৈরি খাবারে। ওজন কমানো ছাড়াও এই তেলের রয়েছে আরও অনেক গুণ। চুলের বেশ কিছু সমস্যা তাড়াতেও অলিভ অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। তারমধ্যে অন্যতম চুল পড়ার সমস্যা। ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এই তেলের ব্যবহারে চুল ঝরার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অ্যাভোকাডো অয়েল
ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সমৃদ্ধ এই তেল শরীরের পক্ষে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে শুধু শরীর নয়, চুলের যত্ন নিতেও এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। দূষণ, পর্যাপ্ত আর্দ্রতা, প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে চুল ক্রমশ রুক্ষ হয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, এই কারণে চুলের ডগা ফেটে যায়। চুল বিবর্ণ হয়ে পড়ে। লালচে ভাব চলে আসে। অ্যাভোকাডো তেলের ব্যবহারে লুকিয়ে রয়েছে এই সব সমস্যার সমাধান ।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনচুল | পড়া | রোধে | পরিচিত | কিছু | তেলের | ব্যবহার