ভারতের দিল্লিতে প্রেমিকাকে হত্যার পর দেহ ৩৫ টুকরা করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রেমিককে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ওই প্রেমিকার নাম- আফতাব।
আজ সোমাবার (১৪ নভেম্বর) ইন্ডিয়া ভিত্তিক গণমাধ্যমে এনডিটিভির দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বাইয়ে কল সেন্টারে কাজ করতে গিয়ে আফতাবের সঙ্গে পরিচয় হয় শ্রদ্ধার। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কিন্তু ছেলে অন্য ধর্মের হওয়ায় শ্রদ্ধার পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি।একপর্যায়ে তারা প্রেমের টানে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন ২৬ বছরের শ্রদ্ধা। পরে দিল্লির মেহরৌলিতে একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন তারা। বিয়ে করার জন্য তার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে কয়েক দিন ধরেই জোরাজুরি করছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু আফতাব ‘লিভ ইন’ করারই পক্ষপাতী ছিলেন। বিয়ের জন্য জোরাজুরি করায় কাল হলো শ্রদ্ধার।
গেলো ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তার প্রেমিক। এরপর মরদেহ কেটে ৩৫ টুকরা করেন এবং টুকরোগুলো রাখার জন্য একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। পরবর্তী ১৮ দিন দিল্লির আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে টুকরোগুলো ফেলে দেন তিনি। এজন্য প্রতিদিন রাত দুইটায় বাসা থেকে বের হতেন আফতাব।
এদিকে শ্রদ্ধাকে ফোনে না পেয়ে তার বাবা বিকাশ মাদান গত ৮ নভেম্বর দিল্লি আসেন। কিন্তু মেহরৌলিতে পৌঁছে তিনি মেয়ের ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ দেখতে পান। এরপর মেহরৌলি পুলিশের কাছে তার মেয়ে অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব জানান, শ্রদ্ধা তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
আফতাবকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে এবং শ্রদ্ধার মরদেহ সন্ধান করছে।