হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো এজেন্সি প্রতারণা বা হয়রানি করলে সে এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী দিনগুলোতেও আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যারা হয়রানি করবে তাদেরকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাবিষয়ক সম্মেলন-২০২২ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হজযাত্রীদের সঙ্গে কোন প্রতারণা বা হয়রানি করলে এজেন্সিগুলোকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনগুলোতেও আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যারা হয়রানি করবে তাদেরকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ প্রণয়ন করেছি। এর ফলে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামিতে যারা হজে যাবেন তাদের হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের সমস্ত নিয়ম কানুন এবং আইন সম্পর্কে জানা এবং মেনে চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে হজযাত্রীদের নিয়ে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল, দালাল-প্রতারকদের প্রতারণা, হজযাত্রী পরিবহনে চরম বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম সাধারণ ঘটনা ছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আমাদের সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে এটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করি। হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, ই-হেলথ প্রোফাইল তৈরি, ই-টিকিট, হজযাত্রী পরিবহন, মক্কা-মদিনায় আবাসন ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ সবক্ষেত্রে ই-হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান হজ ব্যবস্থাপনার অধিকাংশ বিষয়ে আইটি নির্ভর হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হজ ব্যবস্থাপনার অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এসব বিষয়ে হজযাত্রীসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পাঠানো এজেন্সিকে অবহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ইসলামের জন্য অনেক কাজ করেছেন এবং তার উত্তরসূরি হিসেবে সরকার ইসলাম ও জনগণের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। কিন্তু কিছু সন্ত্রাসির কারণে এই পবিত্র ধর্ম সমালোচনার সম্মুখীন।
তিনি আরও বলেন, দেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত রেখে পবিত্র ইসলামের শান্তিপূর্ণ গৌরব সমুন্নত রাখতে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ এবং আলেম ওলামাদেরকে সম্পৃক্ত করেছি। মানবসম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে মসজিদের ইমামগণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লক্ষ লক্ষ শিশুকে কুরআন শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।