‘সিলেটে অনেক জমি পড়ে থাকে। চাষ হয় না। বিশেষ করে সিলেটবাসীদের বিদেশে তো রেস্টুরেন্ট থাকে। আপনারা দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে , খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প এখানে গড়ে তুলুন। সিলেটবাসী ‘রেডি টু কুক’ বা ‘রেডি টু ইট’ এভাবে তৈরি করে নিয়ে যেতে পারেন বিদেশে। এতে অনেক পরিমানে পণ্য নিতে পারবেন, সেখানে অনেক পরিমাণে ব্যবহার করতে পারবেন।’ বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ দ্রুত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ছয় লেন করা হবে। করোনার প্রভাব গেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের জন্য আরেকটি রেলপথ করার চিন্তা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি, সিঙ্গাপুর থেকে অনেকে আসছে বিনিয়োগের জন্য। এক এক দেশকে এক এক খণ্ড জমি আমরা দিচ্ছি। তারা নিজেদের মতো করে তাদের দেশ থেকে যে কোম্পানিগুলো আসবে ওটা সম্পূর্ণ তারা নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের মাধ্যমে দেশের উৎপাদন বাড়বে।সেই সাথে দেশের চাহিদা মিটবে, বিদেশেও রপ্তানিও করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেদের শিল্প-ব্যবসা গড়ে তুলুন।নিজেরা অন্যদের চাকরি দেয়ার সুযোগ তৈরি করুন। নিজের মাস্টার নিজেই হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে সেখানে যত্রতত্র শিল্প কারখানা তৈরি করা যাবে না। তিন ফসলি জমি কোনভাবেই নষ্ট করা যাবে না। পাশাপাশি যে অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তুলবেন অর্থাৎ যাদের থেকে জমি কিনবেন তাদের পরিবারের কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন। যে শ্রমিকরা কাজ করবে তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের দেশি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সারাদেশে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য জমি ঠিক করা হয়েছে।
সরকার প্রধান আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আমরা যা আমদানী করছি তার দাম যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে পরিবহণ খরচ।
আমরা অন্তত এতো খারাপ অবস্থায় নেই। তারপরও দেশের শিল্পপতীদের অনুরোধ করবো অন্তত নিজের দেশের মানুষের চাহিদাটা পূরণ করার জন্য প্রচেষ্টা আপনারা নেবেন। ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। এখন আর হাওয়া ভবন নেই। যেখানে কাজ পেতে হলে হাওয়া ভবনে পাওনা বুঝিয়ে দিতে হয় বা এখানে ওখানে ছুটাছুটি করতে হয়।