এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন করায় এক প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও চার মডারেটরকে পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত সব দায়িত্ব থেকে আজীবন অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যশোর শিক্ষা বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নেয়।
আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এ সংক্রান্ত আদেশের কপি হাতে পেয়েছে।
পাবলিক পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন-ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন এবং মীর্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ।
আদেশে বলা হয়, ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুষ্ঠিত বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষকদের দ্বারা প্রণয়ন ও পরিশোধন করা হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুসারে, প্রশ্নপত্রটি সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নের নির্দেশনার পরিপন্থী হওয়ায় পাঁচজন শিক্ষককে পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলো। ভবিষ্যতে বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করা হবে না।
গেলো ৬ নভেম্বর বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এইচএসসি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের দেয়া বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্নের ৪র্থ পৃষ্ঠার ১১ নম্বর প্রশ্নে এমন বিষয়ে বেছে নেয়া হয়, যা খুব সংবেদনশীল। আর এ প্রশ্নপত্র করা হয় যশোর বোর্ড থেকে। এ জন্য গেলো ৮ নভেম্বর যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রাব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।