ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়াও বিকাশ, রকেট ও উপায়ের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আনার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন এই নির্দেশনা অনুযায়ী, লাইসেন্স প্রাপ্ত মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারেরা প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসনের জন্য বিদেশস্থ অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও এগ্রিগেটর পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত এমএফএস প্রতিষ্ঠানে এই সেবা পাবেন প্রবাসীরা। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন প্রবাসী
বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্থানীয় মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানের হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা জমা হবে, যা প্রবাসীর মোবাইল ফাইনান্সিয়াল হিসেবে টাকায় জমা হবে। বিদেশে কর্মরত প্রবাসীরা যথাযথা ই-কেওয়াইসি মেনে মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ এমএফএসে হিসাব খুলতে পারবেন।
আগ্রহী মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আয় প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে— বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালার আওতায় স্থানীয় বিকাশ ও রকেটের মতো মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারেরা বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসনের সুযোগ পাবে, যা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসন বন্ধ করতে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশের দায়-দেনা পরিশোধের জন্য বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রেতার এলসি মূল্য পরিশোধ করা হয়। আবার রফতানি বিল ও রেমিট্যান্সের অর্থ ওই নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে যোগ হয়।