আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস

আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস

‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশুশ্রমের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ১৯৯২ সালে ১২ জুন শিশুশ্রমের জন্য প্রতিরোধ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০০২ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর দিবসটি ‘শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। সারা বিশ্বে শিশুশ্রম বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এই দিবসটি পালন করা হয়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউনিসেফসহ বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করছে। বাংলাদেশও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। 

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম নিরসন বছর’ হিসেবে ঘোষণা করায় এ বছরের ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উদযাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। শিশুশ্রম একটি জাতীয় সমস্যা। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আর সেজন্যই শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তথা শিশুদের শিক্ষা, নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের সরকার জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমবিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। শিশুশ্রম-নিরসনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। 

এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করতে হবে। এসডিজিকে সামনে রেখে ২০২৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ’ কাজ করছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আজ | বিশ্ব | শিশুশ্রম | প্রতিরোধ | দিবস