বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ। গত দুই দশকে শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা কমলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। গত ৪ বছরে নতুন করে শিশু শ্রমিক বেড়েছে ৮৬ লাখ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ অবস্থা।
নিজের জীবন বিবর্ণ হওয়া স্বত্বেও কোমল হাতে রাঙিয়ে তুলছে বিভিন্ন আসবাব। ১২ বছরের শিশু আসাদ এবং ৯ বছরের আসজাদ। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় দুভাই মিলে কয়েকমাস ধরে কাজ করছে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি আসবাব তৈরির দোকানে।
বিশ্বজুড়ে এরকম কয়েক কোটি শিশুর জীবনে রঙীন শৈশবের বদলে রয়েছে হাড়ভাঙ্গা খাটুনি। অনেকসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করতে হয় তাদের। ইউনিসেফ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে, গত দুই দশকে বেড়েছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটিতে। ২০২২ সাল নাগাদ এই সংখ্যা ছাড়াতে পারে ২০ কোটির ঘর।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, লকডাউন এবং এর প্রভাবে পরিবারের আয় কমে যাওয়া এসব কারণে শিশু শ্রম বাড়ছে। করোনা প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে স্কুলগুলো খুলে দেয়া দরকার।
এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিশুশ্রমের এই চিত্র আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে শঙ্কা জাতিসংঘের।
এএ