আর্কাইভ থেকে ফুটবল

ব্রাজিলের সামনে আজ দক্ষিণ কোরিয়া, পরিসংখ্যান কী বলছে

ব্রাজিলের সামনে আজ দক্ষিণ কোরিয়া, পরিসংখ্যান কী বলছে
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে ব্রাজিলের সামনে আজ প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচটি। এই লড়াইয়ে এগিয়ে কোন দল? শক্তিমত্তা আর পরিসংখ্যান বিবেচনায় পরিষ্কার ফেবারিট ব্রাজিল। সেলেসাওরা ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে, দক্ষিণ কোরিয়ার র‌্যাংকিং ২৮। মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও যোজন যোজন এগিয়ে ব্রাজিল। সেলেসাওরা এর আগে ৭ বার দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলেছে। জিতেছে ৬টিতেই। দক্ষিণ কোরিয়ার জয় একটি, সেটিও ২৩ বছর আগে ১৯৯৯ সালে। তারপর চারবারের দেখায় একবারও ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি কোরিয়ানরা। সবশেষ হারটি চলতি বছরেরই জুনে। ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে সে ম্যাচে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। এনিয়ে টানা নবমবারের মত নক আউট পর্বে খেলতে যাচ্ছে ব্রাজিল। ৩২ বছর আগে শেষ ষোল থেকে বিদায় নিয়েছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ক্লদিও ক্যানেজিয়ার একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত হবার সেই ম্যাচটি এখনো অনেকেই মনে গেঁথে আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে এখন ঐতিহাসিক অল-এশিয়ান কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার হাতছানি। ব্রাজিলের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়া মাঠে নামার আগে দিনের শুরুতে আরেক ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মোকাবেলা করবে জাপান। শুক্রবার গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে রিকাডো হোর্টার পাঁচ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পর্তুগাল। কিন্তু এরপর পরপর দুই গোল দিয়ে ২০১৬ ইউরোপীয়া চ্যাম্পিয়নদেও হতাশ করে জয় ছিনিয়ে নেয় কোরিয়ানরা। নিষেধাজ্ঞার কারনে দলের দুর্দান্ত এই জয় স্ট্যান্ডে বসে দেখতে হয়েছে কোচ পাওলা বেনটোকে। এর আগে গ্রুপের আরেক শীর্ষ দল উরুগুয়ের সাথে গোলশুন্য ড্র করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ পর্যন্ত ঘানাকে ২-০ গোলে পরাজিত করে গ্রুপ পর্ব শেষ করেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বিদায় নিতে হয়েছে উরুগুয়েকে। এর আগে একবারই শেষ ষোলর পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছিল এশিয়ান টাইগার্সরা। ২০০২ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সম্প্রতি ব্রাজিলের সাথে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে। কাতারে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই ব্রাজিলের দলীয় চিকিৎসকরা বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। সেলেসাও চিকিৎসক রডরিগো লাসমার অবশ্য নেইমার প্রসঙ্গে ইতিবাচক আপটেড দিয়েছেন। গোঁড়ালির ইনজুরি কাটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই নেইমারের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে হাঁটুর সমস্যায় পড়া গাব্রিয়েল জেসুস ও এ্যালেক্স টেলেসকে বিশ্বকাপে আর পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অনেকটাই নিশ্চিত করেছেন তিতে। যদিও টেলেস রিচারলিসনের কারনে সবসময়ই দলের বাইরেই থাকেন। টেলেসের ইনজুরি ও এ্যালেক্স সান্দ্রোর কোমরের সমস্যার কারনে লেফট-ব্যাক পজিশন নিয়ে দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন তিতে। তবে গোঁড়ালির সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন ডানিলো। এডার মিলিটাও রাইট-ব্যাক পজিশনেই থাকছেন। দক্ষিণ কোরিয়ান শিবিরেও ইনজুরি সমস্যা রয়েছে। হুয়াং হি-চ্যান পুরো টুর্ণামেন্টেই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন। আগের ম্যাচেও বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে তিনি গোল করেছিলেন। তাকে আবারো মূল দলে পাওয়া না গেছে লি জায়ে-সুংই তার স্থানে খেলবেন। কাফ পেশীর সমস্যার কারনে পর্তুগালের সাথে মুল একাদশে ছিলেন না কিম মিন-জায়ে। কালকের ম্যাচে তার মূল দলে ফেরার আশা রয়েছে। লি কাং-ইন ও কিম ইয়ং-গুনও হালকা ইনজুরি সমস্যায় রয়েছেন। দলের তারকা স্ট্রাইকার সন হেয়াং-মিনের উপর আরো একবার ভরসা করতে চাইছে দক্ষিণ কোরিয়া। এবারের আসওে তিনি এখনো কোন গোল করতে পারেননি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ব্রাজিলের | সামনে | আজ | দক্ষিণ | কোরিয়া | পরিসংখ্যান | কী | বলছে