আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক আর নেই। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভূইয়া।
ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ডা. এস এ মালেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও ৬-দফা আন্দোলনসহ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডা. এস এ মালেক দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ শরীরের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বুধবার বাদ জোহর কলাবাগান মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফরিদপুর-১ আসন থেকে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।