আর্কাইভ থেকে অপরাধ

টিকটকের পরে ভিগো লাইভ ও লাইকির মাধ্যমে অশ্লীলতা, গ্রেপ্তার ৫ (ভিডিও)

টিকটকের পরে ভিগো লাইভ ও লাইকির মাধ্যমে অশ্লীলতা, গ্রেপ্তার ৫ (ভিডিও)

টিকটকের পর এবার লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ ভিগো লাইভ ও লাইকির মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়িয়ে যুব সমাজকে প্রলুব্ধ করছে। যারা এসব অ্যাপস ব্যবহার করে, বিদেশে, অর্থপাচার করছে তাদের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। আর এ প্লাটফর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে এক বিদেশি নাগরিকসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার ডিআইজি জামিল আহমেদ।

আজ রোববার (১৩ জুন) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে তিনি একথা জানান।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: মোস্তাফা সাইফ রেজা (২৬), মো. আরিফ হোসেন (২৭), এস এম নাজমুল হক (২৭), আসমা উল হুসনা সেজুতী (২৮) এবং অজ্ঞাত এক বিদেশি নাগরিক। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, প্রাইভেটকার, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

ভিগোতে রয়েছে, ব্রডকাস্টার আইডি এবং সাপোর্টার বা সেন্ডার আইডি নামে, দুই ধরনের আইডি। যা ব্যবহার করছে, উঠতি বয়সের তরুণীরা। তাদের মূল টার্গেট, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। অর্থের লোভে ব্রডকাস্টার আইডি ব্যবহার করে, উঠতি বয়সি তরুণীরা, লাইভ ভিডিও স্টিমিংয়ে এসে, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের, বিনোদনের প্রলোভন দেখাতো।

এক পর্যায়ে  নানা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে, প্রবাসীদের কাছে কয়েন সদৃশ ডায়মন্ড গিফট পেতো, তরুণীরা। ডায়মন্ড কয়েন বিন্সে রূপান্তরিত হতো। আর ২১০ বিন্স বিক্রি হতো ১ ডলারে।

গ্রেফতার হওয়া আরিফ হোসেন বাংলাদেশে বিভিন্ন মেয়েদের মাসিক বেতনে চাকরি দিয়ে বিগো লাইভের সঙ্গে যুক্ত করতেন। এস এম নাজমুল হক ভার্চুয়াল মুদ্রা ডায়মন্ড বিক্রির অন্যতম প্রধান বাংলাদেশি এজেন্ট এবং আসমা উল হুসনা সেজুতি বিগো লাইভের প্রধান অ্যাডমিন। অ্যাডমিনরা মাসে এক লাখ টাকা করে বেতন পেতেন।

ডিআইজি জামিল আহমেদ জানান, এই চক্রের সদস্যরা গত তিন বছরে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। ভিগো লাইভ ও লাইকি অ্যাপ পরিচালনায় জড়িতদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে অশ্লীলতায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টিকটকের | ভিগো | লাইভ | ও | লাইকির | মাধ্যমে | অশ্লীলতা | গ্রেপ্তার | ৫ | ভিডিও