বিশ্বমঞ্চের আসরে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে বিদায় করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসির এক গোল ও দুই অ্যাসিস্টের সঙ্গে জুলিয়ান আলভারেজের জোড়া গোলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টিকিট পেয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অ্যানহেল ডি মারিয়াকে ছাড়াই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।
এছাড়া শুরুর একাদশের দুই খেলোয়াড় দুটি করে হলুদ কার্ড থাকার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি। তাই ফরমেশনে পরিবর্তন আনায় খুব একটা পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়নি আর্জেন্টাইন কোচকে।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পেনাল্টি কিকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। তবে এই পেনাল্টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জলাতকো দালিচ। তার মতে, প্রথম গোলটি খুবই সন্দেহজনক।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গোল ডটকম।
ম্যাচের ৩২তম মিনিটে সতীর্থর কাছ থেকে বল পান জুলিয়ান আলভারেজ। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ক্রোয়াটদের ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গারকে ফেলে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। এতেই হলুদ কার্ড দিয়ে লে আলবিসেলেস্তেদের পেনাল্টি দেন রেফারি ড্যানিয়েল ওরসাতো।
এ প্রসঙ্গে ক্রোয়াট কোচ দালিচ বলেন, এই কথাটা চিরসত্য, প্রথম গোলটি খুবই সন্দেহজনক। প্রথমত, সেটি কর্নার দেয়া যেতো। সে সময় আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া দেখে অন্তত সেটা বোঝা যাচ্ছিল। তবে পেনাল্টি দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ‘বাজে’ ছিল।
তার দাবি, এরপর আমরা খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছিলাম। তবে কাউন্টার অ্যাটাকে আবার গোল খেয়ে বসি। আমাদের দখলেই বেশি বল ছিল। তবে সুযোগ সৃষ্টি করতে পারিনি। তবে পেনাল্টির জন্য কোনো অভিযোগ নেই।