কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ। আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
ইলিয়াস বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এবারই প্রথম রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ প্রশাসন ফুল দেয়ার সময় নাটক করে আমাদের নাম ঘোষণা করেছে। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছেন কেউ যদি ছাত্রলীগকে আঘাত করে তাহলে সে আঘাত আমার বুকে লাগে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রিকারী কতিপয় দালাল বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। উপাচার্য প্রশাসনের লোকদের বলে বেড়াচ্ছেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ বলতে কিছু থাকবে না।
১৪ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাত্রলীগকে আমন্ত্রণ জানাতে নিষেধ করেছেন দাবি করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, উপাচার্য আওয়ামীলীগ হতে পারে না, সে বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট। মাননীয় উপাচার্য! আপনি কোথায় আওয়ামীলীগ করেছেন? আপনি ছাত্রলীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করতেছেন, ছাত্রলীগকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছেন।
উপাচার্য অপছন্দনীয় ব্যক্তিদেরকে পদে পদে বঞ্চিত ও হেয় প্রতিপন্ন করছেন দাবি করে ইলিয়াস বলেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের আপনার পছন্দ হয় না, তাদের ওপর আপনি স্ট্রিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের উপর তা প্রয়োগ করার চেষ্টা হলে আপনি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আপনার কাছে ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে গেলে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে আপনি মিথ্যাচার করেন। আপনি (উপাচার্য) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছেন।
এসময় উপাচার্য অবৈধভাবে বিভিন্ন নিয়োগ দিয়েছেন দাবি করেও তাঁর বিষধগার করেন ইলিয়াস। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। ছাত্রলীগের আানীত অভিযোগ সত্য কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।'